শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

| ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সাকিবের অল রাউন্ড নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ

ষ্টাফ রিপোর্টার

সাকিবের অল রাউন্ড নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ সাকিব আল হাসানের অল রাউন্ড নৈপুন্যে ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে ২৪৬ রানে অলআউট হয় তামিম ইকবালের দল। রান তাড়া করতে নেমে ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে সক্ষম হলো স্বাগতিকরা। সিরিজ ২-১-এ জিতে নিল সফরকারীরা।

সাকিব ব্যাট হাতে ৭১ বলে ৭৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৩৫ রানে নেন চারটি উইকেট। অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনিই আজ বাংলাদেশ দলের জয়ের নায়ক। উল্লেখ্য, ওয়ানডের ইতিহাসে রান ও উইকেটের হিসেবে তৃতীয় সেরা অবস্থানে রয়েছেন সাকিব। ৬ হাজার ৯৭৬ রান করার পাশাপাশি তার উইকেট ঠিক ৩০০। লংকান গ্রেট সনাথ জয়সুরিয়া ১৩ হাজার ৪৩০ রান ও ৩২৩ উইকেট নিয়ে এক নম্বরে আর পাকিস্তানি গ্রেট শহীদ আফ্রিদি ৮ হাজার ৬৪ রান ও ৩৯৫ উইকেট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছেন।

আজ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেট শিকারের গৌরব অর্জন করেন ৩৫ বছর বয়সী সাকিব। দুশর বেশি উইকেট থাকা মাশরাফি বিন মর্তুজা (২৬৯) ও আব্দুর রাজ্জাক (২০৭) এখন অবসরে। ১৪২ উইকেট নিয়ে চারে মুস্তাফিজুর রহমান।

বোলিংয়ে এবাদত হোসেনও দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। ৯ ওভারে ৩৮ রানের খরচায় তিনি নেন দুটি উইকেট। এছাড়া তাইজুল ইসলাম দুটি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে জেমস ভিনস ৩৮, ফিল সল্ট ৩৫ ও ক্রিস ওকস ৩৪ রান করেন।

এর আগে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে তিন হাফসেঞ্চুরির পরও ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সাকিব ছাড়াও হাফসেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম (৭০) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৫৩)।

টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে হতাশ করেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ওয়ানডের মতো সেই পেস বোলার স্যাম কারানের বলেই ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। দুই ম্যাচেই খালি হাতে ফিরেছেন তিনি। কারানের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গেলে গ্লাভসবন্দি হন জস বাটলারের।

লিটনের পর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বিদায় নেন তামিম। কারানের বল ঠিকমতো বুঝতে পারেননি দলনায়ক। ফ্লিক করতে গেলে বল দুর্ভাগ্যজনকভাবে এজ হয়ে উঠে যায় বাতাসে। পয়েন্টে তার সহজ ক্যাচ নিতে ভুল করেননি জেমস ভিন্স।

এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৮ বলে ৯৮ রান যোগ করে স্থিতি আনেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৭১ বলে ৫৩)। দলীয় ১১৫ রানের সময় শান্ত রানআউটের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর চতুর্থ উইকেটে সাকিবকে নিয়ে ৪৯ বলে ৩৮ রান যোগ করার পর আদিল রশিদের ঘূর্ণি বলে বোল্ড হয়ে যান মুশফিক (১৫৩/৪)। রশিদ তার পরের ওভারে বোল্ড করেন মাহমুদউল্লাহকেও।

এরপর সাকিবের ব্যাটে ভর করে আড়াইশ ছুঁই ছুঁই স্কোর পায় বাংলাদেশ। সাকিব ৭১ বলে ৭০ রান করেন ৭ বাউন্ডারিতে। এ পথে আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৫৪ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়েন সাকিব।

আর এ