নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও অবস্থানের বিষয়টি গভীরভাবে অনুসরণ করছে। অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথেও একমত দেশটি। নেদারল্যান্ডসের রাজা ভিলেম–আলেকজান্ডার এর অফিসিয়াল জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, আগামী বছরের কথা ভাবলে যেটা আমাদের মাথায় আছে, যেটা সবার মাথায় আছে; সেটা অবশ্যই নির্বাচন। এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। জাতীয় নির্বাচন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের জন্যেও একটি মাইলস্টোন। আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য নব দুয়ার উন্মোচন করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সহ মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সাথে সাথে প্রাণবন্ত সুশীল সমাজ স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটায়। নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও অবস্থানের বিষয়টি গভীরভাবে অনুসরণ করছে। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে একমত। আমরা কামনা করি এবং প্রত্যাশা করি যে বাংলাদেশের সকল জনগণ তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে এবং তাদের নেতা নির্বাচন করার জন্য নিজেদের অধিকার পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিষয়ে বলতে গিয়ে ডাচ রাষ্ট্রদূত বলেন, "ইউক্রেনের উপর রুশ হামলায় বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের সবাই আজ ক্ষতিগ্রস্ত।
এমন এক যুদ্ধে নেদারল্যান্ডস নিরপেক্ষ থাকতে পারে না।"
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মানুষ যদি না খেয়ে মারা যায় তাহলে গণতন্ত্র দিয়ে কি হবে? চিকিৎসা যদি না থাকে, গণতন্ত্র দিয়ে কি হবে? শত শত বছরের গণতন্ত্রের সাথে আমাদের মেলানো যাবে না।
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়' আমরা সবসময় মেনে চলেছি। যুদ্ধ নিয়ে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। একাত্তরে আমাদের লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকদের ডাচ রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের প্রতিনিধিরা বরণ করে নেন।
আর এ