উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রথম ধাপে ৪০০ জন খার্তুম থেকে আটটি বাসে করে পোর্ট সুদানের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা রওয়ানা দেন।
তারা সৌদি আরবের জেদ্দা পৌঁছানোর পর বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশিদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
সুদানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জানান, আরও চারটি বাস সেখানে প্রস্তুত আছে। আরও যেসব বাংলাদেশি আসছেন, তাদের নিয়ে সেই বাসগুলো পরে রওনা দেবে।
সুদানে বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৭শ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রথমে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদান এবং পোর্ট সুদান থেকে পোর্ট জেদ্দায় ফিরিয়ে আনা হবে। জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ বিমানের কয়েকটি ফ্লাইটে এসব বাংলাদেশিদের ঢাকায় আনার হবে। ৩ ও ৪ মে এর মধ্যে বাংলাদেশিরা জেদ্দা পৌঁছে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জেদ্দার দুইটি বাংলাদেশ স্কুলে সুদান প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ওষুধ ও সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে প্রায় ১২ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে প্রবাসীদের যেন শারীরিক কোনো সমস্যা না হয়, এটি মাথায় রেখে পোর্ট সুদানেও বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির পক্ষ থেকে প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ওষুধ এবং সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুদান প্রবাসীরা যেদিন জেদ্দা পৌঁছাবেন সেদিন থেকেই বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশিদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
এদিকে সশস্ত্র দুই বাহিনীর সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ সুদান ছেড়ে পালিয়েছে। দেশটির ভেতর বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও তিন লক্ষাধিক বাসিন্দা। দ্রুত এ সংঘাতের সমাপ্তি না হলে ‘সর্বাত্মক বিপর্যয়’ নেমে আসবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
আর এ