একজন গর্ভবতী মায়েদের দুশ্চিন্তা থাকে কতকিছু নিয়েই না। আর সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা থাকে ডেলিভারি নিয়ে। নরমাল ডেলিভারি হবে নাকি কাঁটাছেঁড়ার মধ্যে যেতে হবে এমন সব ভাবনা আঁকড়ে থাকে।
আবার সবার শরীরে নরমাল ডেলিভারি করার মতো শক্তি বা পরিস্থিতি থাকে না। শেষ মুহূর্তেও অনেকের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। তখন আর নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না। গর্ভাবস্থায় কিছু বিষয় মেনে চললে নরমাল ডেলিভারির পথ সহজ হতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক:
পানি পান করুন : সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। এতে শরীরে শরীরে ফ্লুইড চলাচল ভালো থাকে। সেইসঙ্গে স্বাভাবিক থাকে রক্ত চলাচলও। দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তাই আপনি যদি নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করেন তাহলে তা নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
খাবারের তালিকা : গর্ভধারণ করার পর অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে খাবার খাবেন। খাবারের তালিকায় তাজা ফল ও প্রচুর শাক-সবজি রাখতে হবে। সেইসঙ্গে খেতে হবে ক্যালসিয়াম ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে হবে মাল্টিভিটামিন। হবু মায়ের শরীরের পেশি যত শিথিল থাকবে, নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা তত বাড়বে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন : স্বাভাবিক উপায়ে সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য মানসিক চাপমুক্ত থাকা খুবই জরুরি। সব সময় চেষ্টা করুন ফুরফুরে থাকার। কোনো ধরনের চাপ নেবেন না। যারা খোঁচা মেরে বা কষ্ট দিয়ে কথা বলে, তাদের এড়িয়ে চলবেন। কোনো ধরনের ঝগড়াঝাটি বা অশান্তিতে জড়াবেন না। কারণ মানসিক চাপ বাড়লেই আপনার শরীর খারাপ হতে থাকবে। সব সময় হাসিখুশি থাকুন।
সচল থাকুন : গর্ভাবস্থায় অনেকেই অলসতা করে, শুয়ে-বসে কাটান। চিকিৎসক যদি এ ধরনের কোনো নির্দেশনা না দেন তবে কোনো ধরনের অলসতাকে প্রশ্রয় দেবেন না। শরীর ফিট রাখতে সচল রাখুন। বাড়ির টুকিটাকি কাজ করুন। ভারী কোনো কাজ করতে যাবেন না। তবে হালকা হাতে যেগুলো করা যায়, সেগুলো করুন। সকাল ও বিকেলে নিয়ম করে হাঁটুন। এতে শরীর ফিট থাকবে। বাড়বে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা।
যোগব্যায়াম করুন : যোগব্যায়ামের রয়েছে অনেকগুলো উপকারিতা। গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না। তাই এসময় যোগব্যায়াম নিরাপদ। নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে শরীরের পেশি শিথিল থাকে। সেইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন। কমে মানসিক চাপ। ডেলিভারির ব্যথা কমাতে চাইলে নিয়মিত যোগব্যায়ামের অভ্যাস করতে পারেন। তবে যেকোনো ধরনের ব্যায়ামের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
আরএএস