আসন পূর্ণ না করেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করা হয়েছে। বুধবার স্ব-স্ব বিভাগের আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণের মধ্য দিয়ে ক্লাস শুরু করেছে বলে জানা গেছে।এদিকে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ছয় মাসেও ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। টানা ১০ম মেধাতালিকা প্রকাশের পরও তিন ইউনিটে মোট ৪৮১ আসন ফাঁকা রয়েছে। ফাঁকা আসন পূরণে গণবিজ্ঞপ্তির সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার।
জানা যায়, গত বছরের জুলাই-আগস্টে গুচ্ছ পদ্ধতির অধীনে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ফল প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইবিসহ গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে ইবিতে ২০২০ আসনের বিপরীতে ৪২ হাজার ৯৬৫ জন আবেদন করেন। ২ নভেম্বর থেকে মেধাতালিকা প্রকাশ শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
ফাঁকা আসন পূরণে ৬ ফেব্রুয়ারি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে ‘এ’ ইউনিটে ১৫৫৭ থেকে ৯১৭৫, ‘বি’ ইউনিটে ২৬৩ থেকে ৩৫০০ এবং ‘সি’ ইউনিটে ৫৮৬ থেকে ২২৫০ মেধাক্রম পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুদের ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভর্তির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিষয় বরাদ্দ দিয়ে ১১তম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। তালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের পরদিনই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
টানা ১০ দফায় মেধাতালিকা প্রকাশ করার পরেও আসন পূর্ণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোয়াদ্দার বলেন, গত বছর শিক্ষক সমিতি যেসব শর্ত দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ তা পূরণ করতে পারেনি। উল্টো ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এবারো অধিকাংশ শিক্ষক গুচ্ছে অংশ না নেওয়ার পক্ষেই। ভর্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির সভা ডাকা হয়েছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের যেন ভোগান্তি না পোহাতে হয়।
আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার সিস্টেমটা পরিবর্তন করা উচিত। সঠিক কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই গুচ্ছের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, যা অত্যন্ত জটিল। আর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারণে ভর্তিতে বেশি কালক্ষেপণ হচ্ছে।
ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় একটি আইনি জটিলতার কারণে কিছুদিন দেরি হয়েছে। যে সময়ক্ষেপণ হয়েছে তা আমরা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
আরএএস