শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

| ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা বাতিল

ষ্টাফ রিপোর্টার

প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা বাতিল

এবার প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভিন্ন আঙ্গিকে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে বৃত্তি দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসিই) এবং অষ্টম শ্রেণির জেএসসি জেডিসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড আর কোচিংনির্ভর পড়াশোনা বন্ধ করে যুগোপযোগী শিক্ষা এবং প্রতিদিন ক্লাসেই মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুসারে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। যা পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতেও বাস্তবায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রথাগত পরীক্ষাকে কম গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত তিন বছর ধরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না। আগামী দিনেও এ পরীক্ষা হচ্ছে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এদিকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও না নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। পিইসি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ ১৩ বছর পর গতবছর পরীক্ষামূলকভাবে বৃত্তি পরীক্ষা চালু করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা কোচিংমুখী হয়ে পড়ে। তাদের কোচিং নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে শেষ পর্যন্ত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষাও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হলো। ২০০৮ সালের পর গতবছর আবার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় যারা ২৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেত তারাই এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেত। মূলত ২০০৯ সালে সাধারণ স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য পিইসি পরীক্ষা চালু হওয়ার পর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়। পিইসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হতো। ২০১০ থেকে ইবতেদায়িদেরও সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়।

আরএএস