মাদারীপুরে পদ্মাসেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রী বাহী বাস খাদে পড়ে ২০ যাত্রীর প্রাণহানি হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন।
রোববার (১৯ মার্চ) সকালে শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মাসেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এসময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি।ঘটনাস্থলেই ১৪ জন যাত্রী নিহত হন।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ওসি বলেন, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান। ঢামেকে ভর্তি আছেন আরও ৭ জন। তারা আশঙ্কামুক্ত।
ইমাদ পরিবহনের রয়্যাল মোড়ের কাউন্টার মাস্টার শরীফ তাকে বলেন, ভোরে খুলনা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসটি নয়জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর খুলনার ছয়জনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে, বাকি তিনজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। এ ছাড়া বাসের চালক ও সুপারভাইজারের কোন সন্ধান মেলেনি।
তিনি আরও বলেন, যাত্রী তালিকা থেকে দেখলাম ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে নয়জন খুলনার যাত্রী। রয়্যালের মোড় থেকে প্রথমে চারজন, পরে সোনাডাঙ্গা থেকে পাঁচজন যাত্রী ওঠেন। বেশিরভাগ যাত্রী উঠে গোপালগঞ্জের।
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আনোয়ানা নামের এক যাত্রী বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িটি বেশ দ্রুত গতিতে চলছিল। কিছুক্ষণ পরেই পদ্মা সেতু। এমন আলোচনা করছিল যাত্রীরা। হঠাৎ করেই গাড়িটি রাস্তা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যাচ্ছিল। ওই সময়ে শুধু সন্তানকে জড়িয়ে রেখেছিলাম।’
আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘বাগেরহাটের মোল্লারহাট থেকে ভোর ৬ টায় গাড়িতে উঠি। ঢাকার ধানমণ্ডি বড় বোনের বাসায় যাচ্ছিলাম। দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার মুহূর্তে মনে হয় জ্ঞান ছিল না। গাড়ির মধ্যে থেকে কে বা কারা বের করে আনছে তা মনে নাই। স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে এখনও। ’
আর এ