যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা কমেছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ মুদ্রায় বিনিয়োগে উৎসাহী হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে দেশটির মুদ্রার মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে প্রধান ৬ মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ০৯৭ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০২ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগে চলতি মাসে ডলারের মান ২ শতাংশ কমে। ব্যাংকিং সেক্টরে সংকটের আশঙ্কায় এ নিম্নমুখিতা তৈরি হয়।
চলমান মার্চের প্রথম ভাগে আকস্মিক বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি আকারের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংক। সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইসেও ধস নামে।
তাতে চাপে পড়ে ডলার। কারণ, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ থেকে বিরত হতে পারে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) বলে আশঙ্কা জেগেছিল। যেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়িয়ে যাচ্ছিল মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে আর্থিক খাতে ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাওয়ায় আপাতত সেই ভাবনা থেকে সরে এসেছে ফেড। ফলে ডলারের দর বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ইউরোর মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান মুদ্রাটির বিনিময় হার স্থির হয়েছে ১ ডলার ০৮২৯ সেন্টে।
স্টার্লিংয়ের দরপতন হয়েছে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ। ব্রিটিশ মুদ্রাটির দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ১ ডলার ২২৯৭ সেন্টে। তবে জাপানি ইয়েন শক্তিশালী হয়েছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। এক ডলার বিক্রি হচ্ছে ১৩২ দশমিক ৭৭ ইয়েনে।
আর এ